বিল্লাল হোসেন প্রান্ত:
ময়মনসিংহ সদেরর ভাগ্যের সাথে আমার আপনার ভাগ্য জড়িত। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সদরের মানুষ হিসাবে আমার আপনার এজন্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যে-এই জনপদকে একটি সুশৃঙ্খল সমৃদ্ধ জনপদ হিসাবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য আমার আপনার ঐক্য এখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বলেছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। ১৫ ই আগষ্ট ময়মনসিংহের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও পরিবারের সদস্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও গণভোজ বিতরণ করেন তিনি।
মোহিত উর রহমান শান্তর বহরে ছিলেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার, ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগ আহবায়ক এড আজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরুজা হক কলি, সিরতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, জেলা যুবলীগ, মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের বিপুল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, বিশেষ করে জিয়াউর রহমান তারা প্রচার করার চেষ্টা করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী যুবক হত্যা করেছে। অর্থাৎ তারা বলতে চেয়েছিলো গুটি কয়েক সেনাবাহিনীর সদস্য জড়িত, অন্য কেউ জড়িত নয়। কথাটি মিথ্যা। বঙ্গবন্ধুর উত্থানকে তখন পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থায় হুমকি হিসাবে দেখা হয়েছে। বিশেষকরে আমেরিকার উত্থানে বড় হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ বঙ্গবন্ধু সাম্যবাদের পক্ষে পুঁজিবাদের বিপক্ষে কথা বলেছিলেন। তাই তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আর আমাদের দেশের কিছু চক্র মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তারা বিশ্বাস করে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর মতো কথা বলার নেতা সারা বিশ্বে জন্ম হবে। আর এক একটি পরাধীন দেশ স্বাধীন হবে। তাই সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মাধ্যমে উৎখাত করে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাত করতে উঠে পরে লেগেছে।
শান্ত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যার পিছনে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্র জড়িত। বিশেষকরে সাম্রাজ্যবাদের প্রধান শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা,আমাদের দেশের পাকিস্তানি দোসর আর কিছু সেনা সদস্যের ষড়যন্ত্রের পরিনতি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড। সেদিনের সেই শত্রুরা বঙ্গবন্ধুর শত্রু ছিলো। আজকে শেখ হাসিনারও শুত্রু। তারা দেশের স্বাধীনতারও প্রধান শত্রু। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছিলো। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসীন। তারা বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনাকেও এ জনপদের জন্য হুমকি মনে করে। কারণ শেখ হাসিনার জন্য আমেরিকা বাংলাদেশ তাদের নৌঘাঁটি গাড়তে পারেনা।
তিনি বলেন, পৃথিবী এখন রাশিয়া-আমেরিকা বিভাজন থেকে ছড়িয়ে আমেরিকা-চায়না যুদ্ধে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। যেখানে চায়না আমাদের অবকাঠামো ও নানা উন্নয়ন কাজ নির্মাণে কাজ করছে। আমেরিকার ভয় বাংলাদেশে যদি আমেরিকা বিদ্বেষী, চায়না পন্থী সরকার ক্ষমতায় থাকে এটি তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ জন্য আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আপনারা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে ভালোবেসে আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে সারা জীবন তাদের পাশে ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র আমরা রাজপথে রুখে দিবো এই হোক আমাদের আজকের প্রত্যয়।